অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পেশাদার লাইসেন্স করার নিয়ম

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পেশাদার লাইসেন্স করার নিয়ম একদম পানির মতো সহজ। যদি আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়েন, এবং স্টেপ বাই স্টেপ কাজ সম্পূর্ণ করেন।

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পেশাদার লাইসেন্স করার নিয়ম

বর্তমানে বিআরটি-এর সার্ভার অনেক আপডেট করা হয়েছে। যে কারনে আপনি ঘরে বসেই স্মাটফোন বা কম্পিউটার এর মাধ্যমে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন। আমদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমন সহজ করে লেখা হয়েছে।  যা পড়লে যে কেউ তার অপেশাদার লাইসেন্স  কে পেশাদারে পরিবর্তন করতে পারবে। তো আপনি যদি কোন দালালের ক্ষপ্পরে পরতে না চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে।

 

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের উপকারীতা কি?

আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর উপকারিতা কি?। আসলে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করায় অনেক উপকারীতা রয়েছে। যা আপনাকে রাস্তায় গাড়ি চালাতে অনেকটাই উপকৃত করবে।

 

তাহলে চলুন আমরা অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পেশাদার করার নিয়ম সম্পর্কে সম্পূর্ন ধারনা জেনে নেই। আর দালাল মুক্ত সমাজ ঘরে তুলি।

 

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পেশাদার লাইসেন্স করার নিয়ম

 

নিচে সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারাবাহিক ভাবে লেখ হয়েছে। আপনার কাজ হলো- শুধু মনযোগ সহকারে পড়বেন এবং সেই অণুযায়ী আপনার অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি পেশাদারে পরিবর্তন করবেন।

 

পেশাদার লাইসেন্স পেতে কী কী যোগ্যতা লাগবে?

 

আপনি যদি অপেশাদার লাইসেন্স থেকে পেশাদার লাইসেন্সে পরিবর্তন করতে চান, তাহলে নিচের যোগ্যতাগুলো পূরণ করতে হবে:

ট্যাক্স টোকেন নবায়ন ফি ক্যালকুলেটর

বয়স: কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে।

অভিজ্ঞতা: অপেশাদার লাইসেন্স নেওয়ার পর অন্তত ৩ বছর চালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

মেডিকেল সার্টিফিকেট: সরকার অনুমোদিত ডাক্তার দ্বারা নির্ধারিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।

প্রশিক্ষণ: যদি সম্ভব হয়, তাহলে BRTA অনুমোদিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিলে বাড়তি সুবিধা পাবেন।

চালনার দক্ষতা: পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ট্রাফিক আইন, রোড সাইন সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।

 

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কী?

 

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স হল এমন একটি লাইসেন্স, যা ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এটি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো নয়, যা বাণিজ্যিক গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়।

 

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইন আবেদন কোথায় করবেন?

 

বাংলাদেশে BRTA-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.brta.gov.bd) থেকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইন আবেদন ফরম সংগ্রহ করা যায়।

 

BRTA অনলাইনে DLIMS (Driving License Management System) চালু করেছে, যেখানে আবেদনকারীরা সহজেই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন।

 

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যোগ্যতা

 

১. আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।

২. ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।

৩. চিকিৎসা পরীক্ষার মাধ্যমে শারীরিকভাবে সক্ষম হতে হবে।

৪. সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) থাকতে হবে।

 

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইন আবেদন করার ধাপ

 

BRTA-র ওয়েবসাইট থেকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনলাইন আবেদন করতে হলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

 

ধাপ ১: BRTA ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন

 

প্রথমে BRTA-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ) অথবা DLIMS পোর্টাল-এ যান।

 

ধাপ ২: নতুন আবেদন নির্বাচন করুন

 

Driving License অপশন থেকে New Application নির্বাচন করুন।

 

অপশন হিসেবে Non-Professional নির্বাচন করুন।

 

ধাপ ৩: অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করুন

 

  • ব্যক্তিগত তথ্য: আবেদনকারীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্মতারিখ, ঠিকানা।

 

  • পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য: জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (NID) বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর।

 

  • যোগাযোগের তথ্য: মোবাইল নম্বর ও ইমেইল ঠিকানা।

 

  • শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ তথ্য প্রদান করুন।

 

  • ব্লাড গ্রুপ: রক্তের গ্রুপ উল্লেখ করুন।

 

ধাপ ৪: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে আপলোড করুন

 

জাতীয় পরিচয়পত্র (NID Card)

 

শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ

 

৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

 

মেডিকেল সার্টিফিকেট (BRTA অনুমোদিত ডাক্তারের কাছ থেকে)

 

ধাপ ৫: আবেদন ফি প্রদান করুন

 

BRTA নির্ধারিত ফি মোবাইল ব্যাংকিং (Bkash, Nagad, Rocket) বা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করুন।

 

ফি তালিকা:

 

লার্নার লাইসেন্স ফি: ৩৪৫ টাকা

 

চূড়ান্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি: ২,৫৯০ টাকা (কার্ড ফি সহ)

 

ধাপ ৬: ড্রাইভিং পরীক্ষা দিন

 

লার্নার লাইসেন্স পাওয়ার পর ৩ মাস পরে ড্রাইভিং পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

 

BRTA অফিসে লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হবে।

 

পরীক্ষায় পাস করলে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে।

 

ধাপ ৭: মেডিকেল পরীক্ষা দিন

 

BRTA অনুমোদিত হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করুন। রক্তচাপ, চোখের দৃষ্টি, শারীরিক সুস্থতা পরীক্ষা করা হবে। যদি কোনো গুরুতর শারীরিক সমস্যা থাকে, তবে আবেদন বাতিল হতে পারে।

 

ধাপ ৮: অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করুন

 

পরীক্ষায় সফল হলে ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড ফরম্যাটে ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করা হবে।

 

লাইসেন্স নবায়নের নিয়ম

 

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বছর।

 

মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাস আগে নবায়ন আবেদন করা যাবে।

 

নবায়নের জন্য NID, পুরাতন লাইসেন্স, এবং ফি জমা দিতে হবে।

 

শেষ কথা

 

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পেশাদার করার নিয়ম এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। যদি আপনি ব্যক্তিগত  অথবা বেতন ভুক্ত গাড়ি চালানোর পরিকল্পনা করেন, তাহলে দ্রুত BRTA ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করুন।

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ) 

 

১. অপেশাদার লাইসেন্স থেকে পেশাদার লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে?

 আনুমানিক ৫০০০-৭০০০ টাকা খরচ হতে পারে।

 

২. পেশাদার লাইসেন্স কত দিনের জন্য দেওয়া হয়?

৩-৫ বছরের জন্য দেওয়া হয়, পরে নবায়ন করতে হয়।

 

৩. অনলাইন আবেদন করলে কি অফিসে যেতে হবে?

 হ্যাঁ, বায়োমেট্রিক ও পরীক্ষা দেওয়ার জন্য BRTA অফিসে যেতে হবে।

 

৪. অপেশাদার লাইসেন্স ছাড়া কি পেশাদার লাইসেন্স করা যায়?

 না, প্রথমে অপেশাদার লাইসেন্স নিতে হবে এবং ৩ বছর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পেশাদার লাইসেন্স করার নিয়ম

আমি মোঃ মাসুম বিল্লাহ, একজন অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং Ajker Solutions-এর প্রতিষ্ঠাতা। সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন কাজকর্ম অনলাইনে সম্পন্ন করার সহজ সমাধান নিয়ে লিখতে ভালোবাসি। আমার লক্ষ্য হলো সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য দিয়ে মানুষের জীবনকে সহজ করা। আপনি এখানে পাবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন, চাকরির আবেদনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের বিস্তারিত নির্দেশনা। Ajker Solutions-এর মাধ্যমে আমি আপনাদের অনলাইনে কাজ করার যাত্রাকে সহজতর করতে চাই।

1 thought on “অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পেশাদার লাইসেন্স করার নিয়ম”

Leave a Comment